পাকুন্দিয়ায় পরিচয়হীন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর পাশে পুলিশ

পরিচয় না পাওয়া অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর পাশে দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা–পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওসি সারোয়ার জাহান ওই কিশোরীর জন্য পোশাক ও ফলমূল নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান
প্রথম আলো

পরিচয় না পাওয়া গুরুতর অসুস্থ মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর পাশে দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদের নির্দেশে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান ওই কিশোরীর নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে পোশাক ও ফলমূল দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওসি সারোয়ার জাহান ওই কিশোরীর জন্য পোশাক ও ফলমূল নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন শাহনাজের হাতে কিশোরীর জন্য এসব জিনিসপত্র তুলে দেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী। তার বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর হবে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী। তার বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর হবে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান জানান, গত ২৯ অক্টোবর পুলিশই রাস্তা থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি সম্পর্কে জানালে তিনি সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেন। কিশোরীটি কিছুই বলতে পারছে না। তার পরিচয় শনাক্তে দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়েরও এগিয়ে আসা উচিত।