পাটকলশ্রমিক ও বামজোটের ১২ জনের জামিন

বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো চালু করা ও শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র ঐক্য পরিষদ
প্রথম আলো ফাইল ছবি

খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় পাটকলশ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার শ্রমিক ও বাম জোটের ১২ জন নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নগর সাধারণ সম্পাদক ও আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবুল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলার ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য দুজনের একজন পলাতক আছেন, অপরজন পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পুনরায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু, শ্রমিকদের সব বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে আটরা শিল্প এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ নামের একটি সংগঠন। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন শত শত পাটকলশ্রমিক। কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। পরে পুলিশ বেশ কয়েকজন বাম ঘরানার রাজনৈতিক নেতা ও শ্রমিককে সেখান থেকে আটক করে। ওই ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। পরের দিন এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলায় জনগণের জানমালের ক্ষতি, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, যশোরের জেজেআই জুট মিলের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশিদ, মহানগর সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদা প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের জামিন হয়েছে। শ্রমিক নওশের আলী পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক আছেন।