পাটুরিয়ায় পারাপার বন্ধ, লকডাউনে কড়াকড়ি

লকডাউনে মানিকগঞ্জে রাস্তায় কেউ বের হলেই জেরার মুখে পড়ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পুলিশ জনসাধারণকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছে না। বুধবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
আবদুল মোমিন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জেও আজ বুধবার ভোর থেকে লকডাউন চলছে। লোকজনের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে লকডাউনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিতে পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্যবাহী গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং অতি জরুরি ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত যানবাহন পারাপারে সীমিতভাবে ফেরি চলাচল করছে।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। আজ সকাল ছয়টা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহনগুলোকে চলাচল এবং ফেরিতে পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

আজ সকাল নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় কেউ বের হলে তিনি পুলিশের জেরার মুখে পড়ছেন। তাঁদের ঘরে থাকতে নিশ্চিত করতে পুলিশ বাড়িতে অবস্থান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুধু ওষুধ, ফলের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। আর সব বন্ধ আছে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং থানার পুলিশকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। এ সময় লকডাউনে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার এবং মানুষকে ঘরে থাকতে তদারকি করেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান।

মানিকগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে কাজ করছে। বুধবার সকাল নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
প্রথম আলো

রিফাত রহমান বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে ফেরিঘাটসহ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি এবং লকডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে—এমন যানবাহন ছাড়া সকাল ছটার পর থেকে অন্য যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে অতিপ্রয়োজন–সংশ্লিষ্ট যানবাহন ছাড়া ফেরি পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ সকাল ছয়টা থেকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। সকাল ছয়টার পর পাটুরিয়া ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় ছোট-বড় দুই শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাম মিয়া বলেন, শুধু জরুরি প্রয়োজনীয় ও লকডাউন আওতার বাইরে থাকা গাড়িগুলোকেই পারাপারের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মাত্র দুটি ফেরি এসব যানবাহন পারাপার করছে।