পাথরঘাটায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

বরগুনার পাথরঘাটায় এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম জেসমিন সুলতানা (২৮)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার গর্জনবুনিয়া গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ খানের ছেলে আবুল বাশার খানের (৩২) স্ত্রী। এ ঘটনায় জেসমিনের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেসমিন সুলতানা তাঁর স্বামী আবুল বাশার খান ও তাঁদের ছেলে রবিউল আউয়াল পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন সুলতানার বাবার দেওয়া জমিতে নির্মিত বসতঘরে ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, গৃহবধূ জেসমিন সুলতানাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে তাঁর স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। জেসমিনকে হত্যায় তাঁর স্বামী আবুল বাশারকে স্থানীয় মোস্তফা সহযোগিতা করেছেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক।

জেসমিন সুলতানার চাচাতো বোনের জামাই রাজু মিয়া শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ভায়রা আবুল বাশার খান রাত সোয়া দুইটার দিকে শ্বশুরবাড়িতে মোবাইল ফোনে জানান, জেসমিন সুলতানা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ খবর শুনে আমরা কয়েকজন ওই বাড়িতে ছুটে যাই। আমার চাচি শাশুড়ি ও জেসমিনের মা মমতাজ বেগম যখন কান্নাকাটি করছিলেন, তখন আবুল বাশার খান ও মোস্তফা পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা জেসমিনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।’

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল আবুল বাশারের ঘরে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই তা বোঝা যাবে। এ ছাড়া পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।