পানিতে ডুবে নিখোঁজের দুদিন পর দুজনের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বাখলা নদীতে নিখোঁজের দুদিন পর মাসুমা আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাখলা নদীর হুলিয়াখালী এলাকা থেকে পুলিশ ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। একই দিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে নৌকা থেকে পানিতে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ যুবক আল আমিনের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মাসুমা কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর কুট্টাকান্দা গ্রামের মিজান উল্লাহর মেয়ে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাসুমা গত শনিবার বেলা একটার দিকে বাড়ির পেছনে বাখলা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু শিশুটির সন্ধান না পেয়ে রোববার বিকেলে অভিযান সমাপ্ত করে চলে যায়। সোমবার বেলা দুইটার দিকে স্থানীয় লোকজন বাখলা নদীর হুলিয়াখালী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশুর মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জে মারা যাওয়া যুবক আল আমিনের বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মাটিয়ান হাওর পাড়ি দিয়ে তিনি এলাকার পাঠাবুকা গ্রামে তাঁর বড় বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। নৌকায় তিনি একাই ছিলেন। এ সময় ঝোড়ো হাওয়ায় হাওর উত্তাল ছিল। পথে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি। তখন আল আমিন নৌকা থেকে পানিতে ছিটকে পড়েন। পরে জেলেরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। সোমবার সকালে হাওরের পানিতে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ তরফদার জানান, নিখোঁজের পর আল আমিনকে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে অনেক খোঁজা হয়েছে, কিন্তু পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে হাওরের পানিতে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, নেত্রকোনা]