পাপিয়ার পক্ষে যুক্তি-তর্ক শুরু

শামীমা নূর পাপিয়া
ফাইল ছবি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে। আগামী রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আজ বৃহস্পতিবার এই দিন ঠিক করেছেন।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি উপস্থাপন শেষ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেছেন, এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়েছে।

মফিজুর রহমানের আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ প্রথম আলোকে বলেন, শেরে বাংলা নগর থানায় করা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।

অপর দিকে পাপিয়ার আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন। তবে যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় আগামী রোববার এ মামলার পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

যুক্তিতর্ক শুনানির সময় কারাগার থেকে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৩ আগস্ট নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে র‌্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‍্যাব জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট ও ২ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং নরসিংদী জেলায় কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে। পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।