পালাতে গিয়ে পুকুরে ঝাঁপ, চোরাইপথে আনা ১৫ বস্তা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল সীমান্ত এলাকায় পালাতে গিয়ে পুকুরে ঝাপ দেওয়া পিকআপচালক ও উদ্ধার করা চোরাচালানের ভারতীয় কাপড়। আজ বুধবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর শাখার কার্যালয়ে
সংগৃহীত

চোরাইপথে আনা ভারতীয় কাপড়চোপড় ১৫টি প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো। একটি পিকআপ ভ্যানে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে গোয়েন্দা পুলিশ পিকআপ ভ্যানে কী আছে, জানতে চাইলে চালক সড়কের পাশে পুকুরে ঝাঁপ দেন। এ সময় পুকুর ঘেরাও করে চালককে আটক করে জব্দ করা হয় প্রায় ১৩ লাখ টাকার ভারতীয় কাপড়। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল সীমান্তবর্তী বারগাতি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর শাখার একটি দল এ অভিযান চালায়।

আটক পিকআপ ভ্যানচালকের নাম রাসেল আহমদ (২২)। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু-হাউতপাড়া গ্রামে। চালককে আটক করে পিকআপে ১৫টি বস্তায় ভারতীয় কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। শাড়ি, থ্রি–পিস, লেহেঙ্গা, শেরওয়ানিসহ এসব কাপড় চোরাচালানির মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল। জব্দ করা কাপড়ের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

চালককে আটক করে পিকআপে ১৫টি বস্তায় ভারতীয় কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। শাড়ি, থ্রি–পিস, লেহেঙ্গা, শেরওয়ানিসহ এসব কাপড় চোরাচালানির মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক পিকআপচালককে চোরাচালানি চক্রের সদস্য হিসেবে হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, লালাখাল এলাকায় রাতে ভারত থেকে চোরাইপথে নানা রকম পণ্য আমদানি করতে সক্রিয় রয়েছে একটি চোরাচালানি চক্র। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ নজরদারি চালায় জেলার উত্তর শাখার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লালাখালের বারগাতি গ্রামের পাশে সড়ক দিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান সিলেটে আসছিল দেখে জেলা গোয়েন্দা শাখার (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পিকআপচালক তখন পালাতে গিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। এ সময় পুকুরটি ঘিরে রেখে গোয়েন্দা পুলিশ চালককে আটক করে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে জানান, পিকআপ ভ্যানচালক পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুজনও চোরাচালানি। পিকআপ ভ্যানচালক চোরাই পণ্যের বাহক। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (উত্তর) উপপরিদর্শক (এসআই) সুজিত চক্রবর্তী বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন।