পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে জরিপকারী জাহাজডুবি, উদ্ধার ১২

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন রাবনাবাদ চ্যানেলে বেলজিয়ামভিত্তিক খনন কোম্পানি জান ডি নুলের এ জাহাজ ডুবে যায়
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা বন্দরসংলগ্ন রাবনাবাদ চ্যানেলে জরিপকারী একটি জাহাজ (সার্ভে ভ্যাসেল) ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে খননকাজে নিয়োজিত নৌযানটিতে থাকা ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও ২ বাংলাদেশিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই সুস্থ আছেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে ভ্যাসেলটি রাবনাবাদ চ্যানেলের ৫ ও ৬ নম্বর বয়ার মধ্যবর্তী স্থানে ডুবে যায়। রাবনাবাদ চ্যানেলে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা দূর থেকে এ ঘটনা দেখে ডুবে যাওয়া নাবিকদের উদ্ধার করেন। এরপর খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের পায়রা বন্দর কন্টিনজেন্ট ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার হওয়া নাবিকদের পায়রা বন্দরে নিয়ে আসে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরীফুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর ধরে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খননকাজে নিয়োজিত রয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক খনন কোম্পানি জান ডি নুল। এ কোম্পানির সার্ভে ভ্যাসেল হলো ‘এক্সপ্রেস-৫৪’। রোববার ভোরে প্রতিদিনের মতো চ্যানেলের সাগর মোহনার ৫ ও ৬ নম্বর বয়ার (কেপি-৩৩ পয়েন্টে) মধ্যবর্তী স্থানে সার্ভের কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ জাহাজটির পেছন দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ডুবে যায়। এতে ভ্যাসেলে থাকা ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও ২ বাংলাদেশি সার্ভেয়ার নদীতে পড়ে যান। এ ঘটনা দূর থেকে দেখে স্থানীয় জেলেরা ভাসমান অবস্থায় থাকা নাবিকদের উদ্ধার করেন।

এস এম শরীফুর রহমান আরও জানান, কী কারণে ভ্যাসেলটি ডুবে গেল, তা নিরূপণ করার জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম মামূনুর রশিদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।