পিরোজপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অধ্যাপক তারেক শামসুর

অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান
ছবি ফেসবুক থেকে

পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। আজ সোমবার সকাল ১০টায় পিরোজপুর শহরের পুরোনো ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌর কবরস্থানে বাবা আতাউর রহমান ও মা শিরিন রহমানের কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

গত শনিবার রাজধানীর উত্তরায় রাজউকের অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন বিকেলে উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ পিরোজপুরে নেওয়া হয়।

তারেক শামসুর রেহমানের বাড়ি পিরোজপুর শহরের উকিলপাড়া মহল্লায়। তাঁর স্ত্রী শ্যামলী রেহমান একমাত্র মেয়ে অনামিকা রেহমানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।

তারেক শামসুর রেহমানের ছোট ভাই খালেদ শহিদুর রেহমান বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে ভাই আমার ছেলে নাফিজ খালেদ রেহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। জানান, তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছে না। পরে আবার কথা বলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাই আমাকে বলেছিলেন, এখন অবসর জীবন যাপন করবেন। বছরে ছয় মাস পিরোজপুর ও ছয় মাস ঢাকায় থাকবেন। কদিন পর তাঁর পিরোজপুরে আসার কথা ছিল। সর্বশেষ তিন বছর আগে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।’

তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে তাঁর লেখা একাধিক গ্রন্থ আছে। তিনি নিয়মিত সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিতেন।