পিরোজপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ১৮

পিরোজপুর সদর উপজেলায় গতকাল শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হানিফ খান। পরে তাঁকেসহ আহত ব্যক্তিদের পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
প্রথম আলো

পিরোজপুর সদর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হানিফ খানসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন কদমতলা ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান (৫০), হানিফ খানের সমর্থক মিজান শেখ (৩৮), মুনান খান (১৯), লিটন খান (৪০), তন্ময় গাজী (২০), তাজুল ইসলাম (২২), স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সিহাব হোসেন শেখের সমর্থক হাসান শেখ (২৮), হাফিজ শেখ (৩৫), সাঈদ শেখ (৩৭), ইয়াসিন মোল্লা (২৪), মো. আজমীর খান (২২), মো. রিয়াজুল শিকদার (১৮), মো. ইমাম শেখ (২১), শেখ মো. ফারুক (৪০), মো. শহিদুল ইসলাম (৫৫), মুন্না শেখ (৩০), আমিন মিনা (২২) এবং পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুস সোবাহান।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেন শেখ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে কদমতলা বাজার মসজিদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এশার নামাজ আদায় শেষে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে বাজারে অবস্থান করছিলেন।

একই সময় সেখানে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী লোকজন নিয়ে যান। এ সময় দুই প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ও নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তন্ময় মজুমদার বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানের অভিযোগ, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কদমতলা বাজারে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সিহাব শেখ লোকজন নিয়ে হামলা করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেন শেখের আহত কর্মী মো. আজমীর খান অভিযোগ করেন, হানিফ খানের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁদের ওপর হামলা করেন।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান আজ রোববার সকালে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশ পরিদর্শক সোবাহান আহত হন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।