পিরোজপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতার মৃত্যু

ফয়সাল মাহাবুব
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

৭ নভেম্বর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মল্লিকবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিকের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থকদের সংঘর্ষের ফয়সাল আহত হন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ফয়সাল মাহাবুব পিরোজপুর শহরের উকিলপাড়া মহল্লার মাহাবুব এ খোদার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিকের পক্ষে ফয়সাল মাহাবুবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শংকরপাশা গ্রামের মল্লিকবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচারণা চালান। রাত পৌনে আটটার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজনের সংঘর্ষ হয়। তখন ফয়সালের বাঁ কাঁধে গুলি লাগে। ওই রাতে তাঁকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় করা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাতুব্বরসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে ফয়সাল মাহাবুবের মরদেহ পিরোজপুর নিয়ে আসা হবে।

১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক বিজয়ী হয়েছেন।