পীরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ফ্লেক্সিলোড-কম্পিউটারের দোকানদার ইশাহাক আলীকে (২৯) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে পীরগঞ্জের জাবরহাট ইউনিয়নের কর্ণাই পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইশাহাক উপজেলার কর্ণাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইশাহাক জাবরহাট ইউনিয়ন বাজারের দক্ষিণ পাশের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছয় থেকে সাত বছর ধরে সেখানে কম্পিউটার, নানা যন্ত্রাংশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করছিলেন। গতকাল রাত ১২টার পর তিনি দোকান বন্ধ করেন। তবে ঈদ উপলক্ষে গতকাল তাঁর ব্যবসা ভালো হয়েছিল।

সারা দিনের ব্যবসার টাকা, ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন ব্যাগে নিয়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে ইশাহাক আলী ফ্রিডম মোটরসাইকেল নিয়ে জাবরহাট-মালঞ্চা রাস্তা দিয়ে নিজ বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। কিন্তু দিবাগত রাত একটার পর দুর্বৃত্তরা রাস্তায় তাঁকে হত্যা করে টাকা, ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

রাত দেড়টার দিকে জাবরহাট-মালঞ্চা রাস্তার জামতলী কালভার্টের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর ইশাহাকের লাশ দেখতে পান এক পথচারী। এ সময় পথচারীর চিৎকারে এলাকার মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।

আজ মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ইশাহাকের লাশের পাশে তাঁর ফ্রিডম মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন রাখা ছিল।

সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী, গ্রামবাসী তোফাজ্জল হকসহ তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুটি মোবাইল ফোন ও ইশাহাকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি লাশের পাশে রাখা ছিল। লাশের গলা কাটা ও পিঠে কয়েকটি ছুরির আঘাত ছিল। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ, মোটরসাইকেল ও মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ইশাহাকের গলা কেটে ও গায়ে ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।