পুকুর খননে মিলল ৬০০ কেজি ওজনের মূর্তি

নওগাঁর ধামইরহাট থেকে উদ্ধার করা এই মূর্তিটি ত্রয়োদশ শতকের একটি মহামূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চতুর্মুখ শিবলিঙ্গ বলে দাবি র‌্যাবের। এর আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলে র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে
সংগৃহীত

নওগাঁর ধামইরহাটে ৬০০ কেজি ওজনের একটি চতুর্মুখ শিবলিঙ্গ মূর্তি উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। প্রাচীন আমলের এই চতুর্মুখ শিবলিঙ্গ মূর্তিটির আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলে র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চতুর্মুখ শিবলিঙ্গ মূর্তিটি পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে আব্দুল আজিজ তাঁর পুকুর খননের কাজ করছিলেন। পুকুর খননের সময় ১৩ শতকের ৬০০ কেজি ওজনের চতুর্মুখ একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। এই চতুর্মুখ শিবলিঙ্গ মূর্তিটি একটি মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। গতকাল রোববার রাত ১০টার পর জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। এই মূর্তির আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা।

মূর্তিটি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

জানতে চাইলে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এই শিবলিঙ্গটি বেলে পাথরের তৈরি। যদিও পুরাকীর্তিগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা যায় না, তবে এসব পুরাকীর্তি ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে মহামূল্যবান।

জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘পুকুর খনন করতে গিয়ে ১৩ শতকের ৬০০ কেজি ওজনের শিবলিঙ্গ মূর্তিটি পাওয়া গেছে। আমরা মূর্তিটি উদ্ধার করেছি। মূর্তিটি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’