পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে রক্ষায় ছুটলেন মা, বাঁচল না কেউ

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

কুবাজপুর গ্রামে মারা যাওয়া দুজন হলেন রবি দাসের স্ত্রী চান মতি রবিদাস (৪৫) ও ছেলে অরুন রবিদাস (১১)। মোহাম্মদপুর গ্রামে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম ময়না মিয়া (৬৫)। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে কুবাজপুর গ্রামের কিশোর অরুন রবিদাস বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যায়। ওই পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকায় অরুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তার চিৎকারে ছুটে আসেন মা চান মতি। ছেলেকে রক্ষায় পুকুরে নামলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিলাদ মিয়া বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে তার মা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে পাটলী ইউনিয়নের এরালিয়াবাজার মোহাম্মদপুর গ্রামের ময়না মিয়া বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশে পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল সাহাদাত বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হলে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান।

জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজাদুর রহমান বলেন, গত রাতে ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে। ওই তারে লেগে মা-ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।