পুঠিয়ার মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নার্সের মামলা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

বিয়ের কথা বলে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা আল মামুন খানের বিরুদ্ধে একজন নার্স মামলা করেছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মামলাটি করেন। ওই নার্স ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। আজ সোমবার ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হবে। আর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিয়ের দাবি নিয়ে ওই নারী পৌরসভা মেয়রের চেম্বারে অবস্থান নিয়েছিলেন। ওই নারীর বাড়ি জেলার দুর্গাপুরে বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ওই নার্স পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন। সে সময় আল মামুনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাঁকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেন মামুন। সম্প্রতি তরুণী বিয়ের জন্য মামুনকে চাপ দিলে তিনি তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। গতকাল দুপুরে বিয়ের দাবিতে তিনি মামুনের পুঠিয়া সদরের চেম্বারে উপস্থিত হন। এ সময় নার্সকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে জানতে আল মামুনকে কল করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।