পুরো পাঠ্যক্রম নতুন করে সাজানো হয়েছে

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। রোববার দুপুরে চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। তা সেটি প্রাক্-প্রাথমিক হোক আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হোক। সে জন্য সরকার সবকিছুর পরিবর্তন আনছে। পুরো পাঠ্যক্রম নতুন করে সাজানো হয়েছে।

আজ রোববার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এ কথা বলেন। দুপুরে চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

সম্মেলনে মো. শাজাহান মোল্লাকে সভাপতি ও মো. সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা এ ঘোষণা দেন।

সম্মেলনে মো. শাজাহান মোল্লাকে সভাপতি ও মো. সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষা বিশ্বমানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীকে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। কিন্তু একটি চক্র বারবার ইসলামের অপব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারিগরি শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। ২০৫০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার উন্নতি অত্যন্ত ৫০ ভাগে নিয়ে যেতে হবে।’

বাংলাদেশকে যারা হেয়প্রতিপন্ন করতে চায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, সেই সব অপশক্তি প্রতিহত করতে হবে।
দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী

বিএনপির সমালোচনা করে দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করেন তখন তারা (বিএনপি) বলে, উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। উচ্চাভিলাষী হওয়া দোষ নয়, যদি সেই উচ্চাভিলাষ পূরণ করা যায়। শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছে। আর বিএনপি প্রতিটি পরিকল্পনার সমালোচক হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে যারা হেয়প্রতিপন্ন করতে চায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, সেই সব অপশক্তি প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সাংসদ নূর-ই আলম চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শবনম জাহান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, শিবচর পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন খান প্রমুখ।