পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে পাত্রী দেখতে এসে প্রতারক গ্রেপ্তার

সোহেল রানা
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে সোহেল রানা নিজের নাম বদল করে রেখেছিলেন সুমন। পাত্রীপক্ষের কাছে নিজেকে যশোরের মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু সোহেলের অসংলগ্ন কথায় পাত্রীপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা মনিরামপুর থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ওই থানায় সুমন নামের কোনো কর্মকর্তা নেই। পরে পাত্রীপক্ষ সোহেলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা শহরের শেখপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার সোহেল রানা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের মণ্ডলপাড়ার আজিবর রহমানের ছেলে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সোহেল রানা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফাঁসির আসামির জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশ সোহেলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তাঁর আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। এ সময় তাঁর হেফাজত থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশের পোশাক ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, এর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সোহেল রানা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফাঁসির আসামির জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সময় চুয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল। তবে সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে সোহেল আবার পুরোনো কারবারে নেমেছিলেন।

এদিকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের খবর পেয়ে মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক ঝিনাইদহের তারেক হোসেন কাগজপত্রসহ গতকাল রাতেই থানায় উপস্থিত হন। তারেক হোসেন পুলিশকে জানান, ১৫ মার্চ সোহেল পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় তারেক হোসেনের কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কিছু সময়ের জন্য চেয়ে নেন। এরপর সোহেল মোটরসাইকেল নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল রানার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে শেখপাড়া এলাকার ওই ব্যক্তি মামলা করেছেন। সোহেলের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মিরপুর থানায় আরও তিনটি প্রতারণার মামলা আছে। আজ আসামিকে আদালতে নেওয়া হবে।