পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সামনেই ভবন থেকে লাফ দিলেন যুবক

বিকেলে বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় উঠে পড়েন টমাস সরকার (৩২) নামের ওই যুবক। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও উৎসুক জনতার সামনেই পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও উৎসুক জনতার সামনেই পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে টমাস সরকার (৩২) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মানসিক হতাশার কারণে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। নিহত টমাস সরকার বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুরের হাফিজুর রহমান সরকারের ছেলে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বড়গোলা এলাকায় নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় উঠে পড়েন ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে ভবন নির্মাণকাজের ব্যবহৃত একটি বাঁশে অবস্থান নেন। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি দেখে স্থানীয় পথচারীরা সেখানে ভিড় করেন। তাঁকে নিচে নামার জন্য ইশারা করলেও তিনি শোনেননি। একপর্যায়ে ৯৯৯-এ একজন ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকেও। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটির নিচে অবস্থান নেন। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান তিনি।

বিকেলে বড়গোলা এলাকায় নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় উঠে পড়েন ওই ব্যক্তি। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি দেখে স্থানীয় পথচারীরা সেখানে ভিড় করেন। তাঁকে নিচে নামার জন্য ইশারা করলেও তিনি শোনেননি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বগুড়ার সহকারী পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, ভবন থেকে লাফ দেওয়া ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, মানসিক অবসাদ বা হতাশা থেকে অথবা বিকারগ্রস্ত হয়ে ওই ব্যক্তি লফিয়ে পড়ার জন্য ভবনের ওপর ওঠেন। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধারের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু এর আগেই ভবন থেকে লাফ দেন তিনি।