পুলিশি প্রহরায় পূজা সম্প্রীতির নজির নয়: রানা দাশ

রানা দাশ গুপ্ত
ফাইল ছবি

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার থাকলেও জিয়াউর রহমান ও এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে এখনো বাংলাদেশের সংবিধান মুক্ত হতে পারেনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও পুলিশি প্রহরায় পূজা করা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির হতে পারে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আবদুছ সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায় মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমস্যা শুধু সংখ্যালঘুদের নয়, পুরো জাতির সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনো দিন বেইমানি করেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, একাত্তরে পরাজিতরা নির্মূল হয়নি। আজও তারা সক্রিয়। নানা ছদ্মবেশে সরকারি দলের ভেতরে-বাইরে অবস্থান করছে তারা।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৯৪৭ সালের পূর্ব বাংলার ২৯ দশমিক ৭ ভাগ ছিল সংখ্যালঘু। ১৯৭০–এ তা নেমে এল ২০ শতাংশে। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তা ১০ শতাংশে নেমে এল কেন, তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।

হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক প্রীতম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ প্রমুখ।