পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু: কনস্টেবল হারুন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পুলিশি হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদকে (হেলমেট মাথায়) শনিবার বিকেলে সিলেট আদালতে আনা হয়
প্রথম আলো

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে মো. রায়হান আহমদকে (৩৪) নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, শনিবার বিকেলে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয়) আদালতে হারুনকে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মহিদুলাম আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক শারমিন খানম নীলা পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে হওয়া মামলায় এই নিয়ে দুজন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে ১৯ অক্টোবর কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার দ্বিতীয় আসামি হারুনকে শনিবার রাতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান।

পিবিআই জানায়, ১০ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে রায়হানকে কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরদিন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হারুনও ছিলেন।

আকবর ১৩ অক্টোবর থেকে পলাতক। পুলিশ থেকে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই হস্তান্তর হলে রায়হানের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়। নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফাঁড়ির ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও গায়েব, তথ্য গোপন করাসহ বরখাস্ত এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তা করার দায়ে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির ‘টু-আইসি’ পদে থাকা এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন