পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাঁর স্বজনেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আসামির স্বজনদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, চোরাই মোটরসাইকেল পাচার, ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন অভিযোগে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানা, সৈয়দপুর, ডিমলা ও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদর থানার একটি মামলায় নীলফামারী আদালত থেকে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী গতকাল বিকেলে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর অটোরিকশায় করে নিয়ে আসার সময় আসামির স্বজনেরা অটোরিকশার গতি রোধ করে পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং আশরাফুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

আসামি আশরাফুল ইসলামের স্বজনদের হামলায় আহত চার পুলিশ সদস্যের মধ্যে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আসামি আশরাফুল ইসলামের স্বজনদের হামলায় আহত চার পুলিশ সদস্যের মধ্যে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া আসামি আশরাফুলকে পুনরায় গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ওই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার এসআই মিস্টার আলী বাদী হয়ে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ আজ রোববার ভোরে ওই মামলায় ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া আসামি আশরাফুলের চাচা আবদুল ওয়াহাব আলীসহ (৪৮) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।