পুলিশের ঘাড় কামড়ে পালাতে চেয়েছিলেন তিনি

ফয়সলালের কামড়ে জখম কনস্টেবল মিজানুর রহমানের ঘাড়
প্রথম আলো

বয়স মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু থানায় তাঁর নামে একাধিক মাদক মামলা আছে। পুলিশের খাতায় মাদক সেবন ও ব্যবসায় যুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত তাঁর নাম। অবশেষে এক সহযোগীসহ ১০০টি ইয়াবা নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ধরা পড়েছেন এই তরুণ। দেহ তল্লাশির পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যের ঘাড়ে কামড়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে তাঁর ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।

গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম ফয়সাল খান (১৮)। তিনি নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুর গ্রামের মোফাজ্জল খানের ছেলে। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া সহযোগী হলেন আতিক মিয়া (২২)। তাঁর বাড়িও হিরণপুর এলাকায়। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে হিরণপুর বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি। এই ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য হলেন মিজানুর রহমান। তিনি জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত।

পরে দেহ তল্লাশির সময় ফয়সালের কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় ফয়সাল পুলিশ সদস্য মিজানুরের ঘাড়ে কামড়ে আহত করে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কামড় সহ্য করেও মিজান জাপটে তাঁকে ধরে ফেলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল খান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছেন। তাঁর নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার তিনি আতিক মিয়াকে নিয়ে হিরণপুর বাজার এলাকায় ১০০টি ইয়াবা বড়ি নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে এসআই তপন চন্দ্র বাকালি, এসআই শাহিদুল ইসলাম, এএসআই মশিউল হক, কনস্টেবল মিজানুর রহমানসহ একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।

পরে দেহ তল্লাশির সময় ফয়সালের কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় ফয়সাল পুলিশ সদস্য মিজানুরের ঘাড়ে কামড়ে আহত করে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কামড় সহ্য করেও মিজান জাপটে তাঁকে ধরে ফেলেন। আহত মিজানকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এসআই ফরিদ আহমদ আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আহত পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ আছেন। ফয়সাল ও আতিকের নামে নেত্রকোনা মডেল থানায় এসআই শাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। আজ বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।