পূর্বধলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় পাঁচ বছরের এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পূর্বধলা থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার বিকেলে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ওই মুয়াজ্জিনের নাম আরিফুল ইসলাম (৩২)। তিনি উপজেলার ধোবারুহী গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম পরিবার নিয়ে উপজেলা সদরের আমতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। সেখানে মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজের পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিশুটিকে তিনি আরবি পড়াতেন। গতকাল দুপুরে শিশুটি তাঁর বাসায় পড়তে এলে এ সময় বাসা ফাঁকা ছিল। তিনি শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি নিজের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। শিশুটির মা এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজের পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিশুটিকে তিনি আরবি পড়াতেন। গতকাল দুপুরে শিশুটি তাঁর বাসায় পড়তে এলে এ সময় বাসা ফাঁকা ছিল। তিনি শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন রাত আটটার দিকে মুয়াজ্জিন আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ দুপুরে শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করলে ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মসজিদ কমিটির সভাপতি উম্মে কুলসুম জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মুয়াজ্জিনকে সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।