পেকুয়ায় ভোটের ২ দিন পর কেন্দ্রে পাওয়া গেল খালি ব্যালট পেপার

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনের দুদিন পর ভোটকেন্দ্রে বেশ কিছু খালি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম উজানটিয়া ভেলোয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ভেলোয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোট ১৪টি খালি ব্যালট পেপারের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ছিল ১০টি, আর সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ব্যালট ছিল ২টি করে। পরে ব্যালটগুলো আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শহীদুল ইসলাম নিয়ে গেছেন।

তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনে ৩ হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল করিম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের এম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৪১১ ভোট।

খালি ব্যালট পেপারের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ছিল ১০টি, আর সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ব্যালট ছিল ২টি করে। পরে ব্যালটগুলো আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শহীদুল ইসলাম নিয়ে গেছেন।

এ ঘটনার পর পরাজিত নৌকার প্রার্থী শহীদুল ইসলামের অনুসারীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। সাজ্জাদ হোসেন নামের নৌকার একজন সমর্থক বলেন, ভুয়া ব্যালট পেপার দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারচুপিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন।

নৌকার প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বলেন, আলমারিতে ব্যালট পাওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত দরকার।

উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোছাইন স্বাক্ষরিত ফলাফলের শিট ও অবশিষ্ট ব্যালট পেপার বুঝে পেয়েছি। এখন যদি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাওয়া যায়, এর দায়ভার প্রিসাইডিং অফিসারকেই নিতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোছাইনকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, স্কুলের আলমারিতে অব্যবহৃত খালি ব্যালট পাওয়ার কথা তাঁকে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শহীদুল ইসলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।