পোষা কুকুর সঙ্গে নিয়ে ভাসানচরে যাচ্ছে ছোট্ট সোহেল

পোষা কুকুরকে নিয়ে ভাসানচরে যাচ্ছে সোহেল নামে এই শিশুটি।
ছবি: জুয়েল শীল

নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রোহিঙ্গারা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার একটু পরে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আজ ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মো. সোহেল নামের এক রোহিঙ্গা শিশু বলেছে, সে পোষা কুকুরকে নিয়ে ভাসানচরে যাচ্ছে। এক বছর ধরে কুকুরটি তার সঙ্গে আছে। নিজে না খেলেও সে কুকুরটিকে খাওয়ায়। তাই ভাসানচরেও সে ওকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজে ওঠার আগে হামিদ হোসেন নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছি। সেখানে থাকা আমাদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সবাই ভালো আছেন।’

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তিনটি জাহাজ।
ছবি: জুয়েল শীল

কুয়াশার কারণে চট্টগ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর প্রক্রিয়া কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কুয়াশার কারণে ওই সময় তাঁদের চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে আনা হয়। এক ঘণ্টা দেরিতে তাঁরা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম থেকে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এর আগে তিন দফায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮ জন রোহিঙ্গাকে।

এর আগে গত রোববার ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয় ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরকারের স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে।