পোস্টার সরালেন মেয়র, অন্যদের প্রতিও আহ্বান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্বাচনের পরদিন থেকে নিজের নির্বাচনী পোস্টার সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র প্রার্থী নায়ার কবির। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের পাইকপাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ভোটের পরদিন থেকেই নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ শুরু করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নায়ার কবির। দুই দিনে তিনি ও তাঁর অনুসারীরা চারটি এলাকা থেকে রশি দিয়ে টাঙানো পোস্টার সরিয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের প্রতিও পোস্টার অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন নায়ার কবির। অবশ্য আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই আহ্বানে কেউ সাড়া দিয়েছেন, এমন তথ্য মেলেনি।

নির্বাচন কমিশন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে ৬ জনসহ মোট ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে ছেয়ে যায় পৌরসভার সব এলাকা। রাস্তার ওপরে রশি দিয়ে টাঙিয়ে রাখা হয় হাজারো পোস্টার।

জেলা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্বাচনের পরদিন গতকাল সোমবার থেকে পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেন নবনির্বাচিত মেয়র নায়ার কবির। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

নায়ার কবিরের অনুসারীরা আজ মঙ্গলবার পৌরসভার কালাইশ্রীপাড়া, কুমারশীল মোড় ও হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে পোস্টার অপসারণ করেন।

নায়ার কবির সোমবার সন্ধ্যায় অনুসারীদের নিয়ে শহরের পাইকপাড়া এলাকায় পোস্টার অপসারণ করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিজের সব পোস্টার অপসারণ করবেন। তিনি বলেন, পৌর এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সব নাগরিকের দায়িত্ব। সে জন্য তিনি পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনের সব প্রার্থীকেই তাঁদের পোস্টার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করার অনুরোধ করেন তিনি।

নায়ার কবিরের অনুসারীরা আজ মঙ্গলবার পৌরসভার কালাইশ্রীপাড়া, কুমারশীল মোড় ও হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে পোস্টার অপসারণ করেন। তাঁরা নায়ার কবিরের পোস্টারের পাশাপাশি অন্য প্রার্থীদের পোস্টারও রাস্তার ওপর থেকে অপসারণ করেন।

রোববারের নির্বাচনে ২৮ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নায়ার কবির। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূঁইয়া (মুঠোফোন) ১৮ হাজার ৩৬১ ভোট পান। বিএনপির প্রার্থী জহিরুল হক পান ৮ হাজার ৯৬ ভোট। মেয়র পদে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর বাইরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।