পৌরসভা নির্বাচন: মোটরসাইকেলের অনুমোদন মেলেনি, বিপাকে সাংবাদিকেরা

নির্বাচন কমিশন

পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। অনুমোদনের স্টিকার দেওয়া হয়নি চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও।

মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকেরা মোটরসাইকেলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তবে আজ রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত অনুমোদনের স্টিকার না মেলায় বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকেরা।

মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাইক্রোবাস বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের পৌর নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলে চলাচলের সুযোগ নেই। তাই স্টিকার দেওয়া হচ্ছে না। তবে সাংবাদিকেরা চাইলে গাড়ি (মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার) ব্যবহারের জন্য স্টিকার দেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনী প্রচারণা। আগামীকাল সোমবার পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে অনেক স্থানে দ্রুত যেতে হয় এবং ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলতে হয়। মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে না পারলে অনেক সমস্যা হবে। হয়তো ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ঘটনা শেষ হয়ে যাবে।

চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকেরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন গাড়ি (মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার) ব্যবহারের অনুমতি দিলেও অনেক সাংবাদিকের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে খরচ বহন করা সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকেও এ খরচ বহন করবে না।

২২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ অধি শাখা থেকে পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিকদের বিশেষ কার্ড সরবরাহ করা হবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।

বিষয়টি নিয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান।

সাংবাদিক নেতারা জেলা প্রশাসককে জানান, মোটরসাইকেল বন্ধ মানে সাংবাদিকদের গতি নিয়ন্ত্রণ করা। অতীতে কোনো পৌর নির্বাচনে এমনটি হয়নি। মোটরসাইকেল বন্ধ থাকায় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হবে না এবং অন্যের কাছ থেকে শুনে প্রতিবেদন লিখতে হবে। এতে তথ্যের ঘাটতি বা বিকৃতি ঘটবে।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।