প্রকৃতির সম্পদ নদীকে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই

নীলফামারীর ডোমারে জেলা নদী সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পারঘাট আলোর বাজার নামক স্থানে কলমদার-বুড়িখোড়া নদীর তীরে
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমার কাছে যদি কোটি কোটি টাকা থাকে, আর নদী না থাকে, তাহলে আমরা বাঁচব না। নদী প্রকৃতির সম্পদ, একে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।’

নীলফামারীতে ‘চলো নদীর কথা শুনি’ স্লোগানে আয়োজিত নদী সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার জেলার ডোমার উপজেলার পারঘাট আলোর বাজার নামক স্থানে কলমদার-বুড়িখোড়া নদীর তীরে ওই সংলাপ হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সংলাপ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

প্রকৃতি-পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও রিভারাইন পিপল আয়োজিত সংলাপে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, নীলফামারীর নদীর অবস্থা সম্পর্কে যতটা ভালো শুনে এসেছিলেন, ততটা ভালো নয়। নদী নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করার সময়ে নদীপারের মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। নদী জীববৈচিত্র্য পরিবেশের ক্ষতি করে, এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত নয়।

সংলাপে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের করণীয় আছে। কোথাও কোনো নদী দখল-দূষণ হলে স্থানীয়দের ভূমিকা রাখতে হবে। সে জন্য নদী রক্ষায় সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন আছে।’

সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের রংপুর ও নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, দেওনাই নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ, বেলার উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক তন্ময় সান্যাল প্রমুখ।

সংলাপে দেওনাই, শালকি, চেকাডারা, খড়খড়িয়া, যমুনেশ্বরী, কলমদার-বুড়িখোড়াসহ সাতটি নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।