প্রচলিত আইনে ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বিচার হবে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, রাষ্ট্র তাদের ক্ষমা করবে না। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করা হবে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন আইনমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিষ্কার বলে দিতে চাই এসব অপপ্রচার বন্ধ করেন। তা না হলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তখন আপনাদের কেউ ক্ষমা করবে না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল, তারা ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ থেকে ’৯৬ ও ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তারাই চেষ্টা করেছিল কীভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করা যায়। বাংলাদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। তাদের সে অপচেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। সুতরাং তাদের সম্পর্কে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের পৈতৃক সম্পত্তি। তবে বিএনপির নয়। সেতু নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছে।
আনিসুল হক, আইনমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ৬০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার পান বিজয়ীরা।  

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়ায় বিজয় দিবসের আরেক আয়োজনে আইনমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের পৈতৃক সম্পত্তি। তবে বিএনপির নয়। সেতু নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছে।

‘পদ্মা সেতু কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন আইনমন্ত্রী।

এতে সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর এ আলম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।