প্রচারে বাধার অভিযোগ বিএনপির প্রার্থীদের

  • অভিযোগকে ‘গতানুগতিক’ বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, কর্মী না থাকায় বিএনপি প্রচারণায় নেই।

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

পাবনায় দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ঈশ্বরদী, ফরিদপুর ও সাঁথিয়া পৌরসভায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা। পোস্টার, ফেস্টুন আর প্রচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পৌর এলাকাগুলো। তবে প্রচার-প্রচারণায় পদে পদে বাধার অভিযোগ তুলেছেন এই তিন পৌরসভার বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। যদিও বিএনপি প্রার্থীদের এমন অভিযোগকে ‘গতানুগতিক’ বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

ঈশ্বরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহাক আলী মালিথা। বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম।

গত শনিবার পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে আছে পৌর এলাকা। চলছে মাইকিং, প্রার্থীদের গণসংযোগ। তবে প্রচারণার খবর জানতে গেলে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে। মাইকিংয়েও বাধা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। রফিকুল বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করা যায় না।

তবে অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, বিএনপির প্রতিটি অভিযোগই ‘গতানুগতিক’। তাঁরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রচারের জন্য কর্মী পাচ্ছেন না।

প্রার্থীদের এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আলোচনা চলছে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারা নিয়ে। পৌরসভার পশ্চিম টেংরি মহল্লার বাসিন্দা সাইফুল হোসেন বলেন, সম্প্রতি হওয়া উপজেলা ও এর আগে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ভোটারদের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের তেমন একটা মাঠে দেখা যায়নি। অনেকটা একতরফাই ভোট হয়েছে। এ নির্বাচনেও তেমন হলে ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহ পাবেন না।

এদিকে প্রচারণায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাঁথিয়ায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলামও। তাঁর অভিযোগ, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন বিএনপির নেতা-কর্মীদের তত কোণঠাসা করছেন। ঘর থেকে বের হলে মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। এ অভিযোগকে ‘বানোয়াট’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুল আলম বলেন, নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

তবে ফরিদপুর পৌরসভায় বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকতে চান বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক। তিনি বলেন, নানা হুমকি আসছে। কিন্তু তিনি এসব উপেক্ষা করে নির্বাচনে টিকে থাকতে চান। তাঁর আশা, নিরপেক্ষ ভোট হলে ধানের শীষই জিতবে।

বিএনপির প্রার্থীদের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনটি পৌরসভাতেই সব দলের প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।