প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খুন করা হয় বৃদ্ধকে, আড়াই বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মোসলেম উদ্দিন (৭৫) হত্যাকাণ্ডের আড়াই বছর পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খুন করা হয় মোসলেমকে।

মোসলেম উদ্দিনের বাড়ি ত্রিশালের অলহরি বাদামিয়া গ্রামে। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নিজ দোকানে খুন হন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়া আকরাম হোসেনের বাড়িও অলহরি বাদামিয়া গ্রামে।

গত মঙ্গলবার ত্রিশালের অলহরি বাদামিয়া গ্রাম থেকে আকরামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আকরাম। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গোস্বামী বলেন, অলহরি বাদামিয়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছফির উদ্দিনের দোকান ছিল বাদামিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। তিনি সারা দিন দোকানে ক্রয়-বিক্রয় করে রাতে বাসায় থাকতেন। তাঁর বাবা মোসলেম রাতে দোকানে থেকে পাহারা দিতেন।

প্রদীপ কুমার গোস্বামী আরও বলেন, বাদামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের বিরোধ হয়। এক পক্ষকে ফাঁসাতে আকরাম ও তাঁর সহযোগীরা বিড়ি কেনার অজুহাতে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে মোসলেমের দোকানঘরে ঢোকেন। এরপর তাঁরা দোকানের মেঝেয় থাকা ইট দিয়ে মোসলেমের মাথায় আঘাত করে এবং ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরদিন ত্রিশাল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলে পাওয়া পদচিহ্ন ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন সম্ভব হয়েছে।