প্রতিবেশীকে দোকানে ভাত দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু

প্রতীকী ছবি

ফেনী পৌর এলাকায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক চন্দ্র দাস (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মানিককে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ২২ ধারায় ওই শিশুর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গত ১৫ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার শিশুটির মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ ও শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাস ও শিশুটির পরিবার দীর্ঘদিন থেকে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। মানিকের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার কালীদহ ইউনিয়নের পূর্ব সিলোনিয়া গ্রামে। সেলুন ব্যবসার কারণে শহরে বসবাস করেন। মানিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ১৫ অক্টোবর দুপুরে শিশুটিকে মানিকের জন্য ভাত নিয়ে সেলুনে পাঠান। এ সময় শিশুর সঙ্গে তার আট বছর বয়সী ছোট বোনও ছিল।

দুই বোন দোকানে গেলে কৌশলে মানিক দাস ছোট বোনকে শিঙাড়া আনার জন্য বাইরে পাঠিয়ে বড় বোনকে দোকানে রেখে দেন। এরপর মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দোকানের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। কিছুক্ষণ পর ছোট বোন ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখে দরজায় ধাক্কা দেয়। দোকান খোলার পর বোনকে কাঁদতে দেখতে পায়। বাসায় ফিরে মা-বাবাকে জানায়। এরপর মানিক স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।