প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামে প্রতীকী ক্লাস

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রতীকী ক্লাস কর্মসূচি। ষোলশহর রেলস্টেশন চত্বর, চট্টগ্রাম, ১ জুন
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও প্রতীকী ক্লাস’ করেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা নগরের ষোলশহর এলাকায় জড়ো হন। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতীকী ক্লাস শুরু করেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কানাই লাল দাশ।

প্রতীকী ক্লাসে অধ্যাপক কানাই লাল দাশ সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। এটি সঞ্চালনা করেন মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান চৌধুরী। আর শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত।
ক্লাসের শুরুতে কানাই লাল দাশ বলেন, ‘করোনা এখন নিউ নরমালে পরিণত হয়েছে। সরকারের উচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা চিন্তা করা। আর শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার যে দাবি করছেন, সেটি যৌক্তিক। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই।’

শিক্ষার্থী রাজেশ্বর বলেন, অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ১৩ জুনের মধ্যে খুলে দিতে হবে। আর ৭ জুনের মধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, কীভাবে ক্লাস হবে, তা প্রকাশ করতে হবে।
ক্লাসে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইন ক্লাসের যে সিদ্ধান্ত করোনা মহামারির গোড়ায় নেওয়া হয়েছিল, সেটি আসলে সফলতার মুখ দেখেনি। কারণ, শুরু থেকে সেটি যথেষ্ট পরিকল্পিত এবং সর্বজনীনভাবে করা হয়নি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সরকারের অনাগ্রহ শিক্ষার্থীদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে, যার প্রতিফলন শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন।

সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য দ্রুত রুটিন প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে এবং করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জাতীয় বাজেটে এবার বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।