প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত কার্ডের ছবি এঁকে পুরস্কার পেল এক প্রতিবন্ধী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বছরের ঈদুল আজহার কার্ডে শোভা পাচ্ছে স্বরলিপির আঁকা ছবি। এই ছবিটিই এঁকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছে ভোলার বাক্‌ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী।সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা কার্ডের ছবি এঁকে এক লাখ টাকা পুরস্কার পেল ভোলার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের বাক্‌ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী স্বরলিপি (১২)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক স্বরলিপির হাতে পুরস্কারের এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

জেলা প্রশাসক স্বরলিপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং আরও সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আতাহার মিঞা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আল ফারুক, ভোলা পৌরসভার সাবেক মেয়র ভোলা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম নবী আলমগীর, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল হক কবীর, স্বরলিপির বাবা শ্যামল চন্দ্র ও মা মিনতি বালা প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক স্বরলিপির হাতে তুলে দিচ্ছেন পুরস্কারের এক লাখ টাকার চেক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে।
সংগৃহীত

এ সময় ভোলা জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিভিন্ন দাওয়াতপত্র ও শুভেচ্ছা কার্ডে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ব্যবহার করে আসছেন। ঈদুল আজহার দাওয়াত কার্ডে ব্যবহারের জন্য এ বছর ভোলার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের শিক্ষার্থী স্বরলিপির ছবি স্থান পেয়েছে। এ কারণে আমরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। এর আগে ২০১৯ সালে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডে মো. তানভীর (৯) ও ঈদুল ফিতরের দাওয়াত কার্ডে মো. ইয়ারুল আলমের (১১) আঁকা ছবি স্থান পেয়েছে। তারা দুজনই ছিল ভোলা চিলড্রেন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদেরকেও সে বছর সম্মাননা পুরস্কার দেন প্রধানমন্ত্রী।

ডিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের আরও যত্নশীল হতে হবে। তাদের আরও ভালোভাবে ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহ জোগাতে হবে।

স্বরলিপির বাবা শ্যামল ও মা মিনতি মেয়ের এমন সাফল্যে খুব খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দুজন ভোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে নাইটগার্ড ও আয়ার কাজ করেন।