প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চা বিক্রেতার বাড়ি উদ্ধার

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এক চা-বিক্রেতার বাড়ি দেড় বছর ধরে দখল করে রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ সোমবার দখল উচ্ছেদ করে চা–বিক্রেতাকে তাঁর ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধূষিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২–এর আওতায় চা–বিক্রেতা মাইনুদ্দিনের ঘরটি নির্মাণ করা হয়।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার এক চা বিক্রেতার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মাণ করা বাড়ি দেড় বছর ধরে দখল করে রাখে স্থানীয় ইউপি সদস্য। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই বাড়ি আজ তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথম আলো

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে মাইনুদ্দিনের নামে একটি ঘর বরাদ্দ আসে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করে। তবে মাইনুদ্দিন ঘরটির দখল নিতে পারেননি। তাঁর চাচাতো ভাই চান্দলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন ঘর বুঝিয়ে দিতে মাইনুদ্দিনের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ইউপি সদস্য নিজেই সেখানে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ব্যক্তিরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া সিদ্দিকার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সরকারি ঘর ইউপি সদস্য দখল করে রাখায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ফৌজিয়া সিদ্দিকা, ইউএনও, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা

সোমবার দুপুরে ইউএনও, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাফর সাদিক চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি দখল করে রাখার বিষয়টির প্রমাণ পান। পরে তাঁরা জাকিরকে ঘর থেকে বের করে মাইনুদ্দিনকে ঘরটি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, মাইনুদ্দিন বাড়িটি তাঁর কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি কোনো ধরনের ঘুষ চাননি।
মাইনুদ্দিনকে বাড়িটির দখল বুঝিয়ে দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাড়ি বিক্রির কথা মিথ্যা।
ইউএনও ফৌজিয়া সিদ্দিকা বলেন, সরকারি ঘর ইউপি সদস্য দখল করে রাখায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।