প্রসববেদনা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় গৃহবধূ নিহত

প্রতীকী ছবি

প্রথমবারের মতো গর্ভে সন্তান ধারণ করেছিলেন গৃহবধূ সামিয়া আক্তার (২০)। নতুন অতিথিকে পৃথিবীর আলোয় নিয়ে আসার দিন গুনছিলেন তিনি। মঙ্গলবার প্রসববেদনা ওঠায় স্বামী–স্বজনদের সঙ্গে রওনা হয়েছিলেন হাসপাতালের পথে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সামিয়ার, অনাগত সন্তানটিও পৃথিবীর আলো দেখার আগেই ফিরে গেল না–ফেরার দেশে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা এলাকার বাখুন্ডা বাজারের কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া আক্তার নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পাঁচগ্রামের বাসিন্দা কৃষক বেল্লাল মিয়ার (২৭) স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ প্রসববেদনা ওঠে সামিয়ার। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁকে বাড়ি থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছিল। কিন্তু বাখুন্ডা এলাকায় বাখুন্ডা বাজারের কাছে এলে সিএনজিটির পেছনের বাঁ পাশের চাকাটি ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে সিএনজিটি মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে প্রসূতি সামিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হন সামিয়ার স্বামী বেল্লাল মিয়াসহ তিনজন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ইকবাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই গৃহবধূ ও তাঁর গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সামিয়ার ভাশুরের ছেলে শফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় তাঁর চাচি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন সামিয়ার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাবি মাহফুজা আক্তার (৩৫)। এ ঘটনায় সামিয়ার শ্বশুরবাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে জড়ো হন।