প্রাণে বাঁচল লক্ষ্মী প্যাঁচার ৫টি ছানা

বাচ্চাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই হয়তো মা লক্ষ্মী প্যাঁচা বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় তাদের রেখে বাইরে গিয়েছিল খাবারের সন্ধানে। কিন্তু খাবার নিয়ে বাড়িতে ফিরে আর বাচ্চাদের দেখতে পায়নি সে। চিলেকোঠায় আগুন জ্বালানো হলে ছানাগুলো সরতে গিয়ে নিচে পড়ে যায়। তবে প্রাণে বাঁচে। এক কিশোর বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মকবুল হোসেনের বাড়িতে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, মকবুল হোসেনের বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় মা লক্ষ্মী প্যাঁচা পাঁচটি ছানা নিয়ে থাকত। গতকাল রোববার সকালে সেখানে লাগা আগুনে দগ্ধ হয় লক্ষ্মী প্যাঁচার একটি ছানা। তার চেঁচামেচিতে অন্য ছানাগুলো সরতে গিয়ে নিচে পড়ে যায়। সেখান থেকে জহিরুল ইসলাম নামের এক কিশোর বাচ্চাগুলো কুড়িয়ে এনে নিজের দোকানে রাখে। পরে সে বাচ্চাগুলো পরিবেশকর্মীদের হাতে তুলে দেয়। বাচ্চাগুলোকে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। তবে মা লক্ষ্মী প্যাঁচাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার পর চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ঘটনাস্থলে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রকিবুল হাসান, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, পরিবেশকর্মী কোরবান আলী ও হাসান ইমাম।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, শিগগিরই লক্ষ্মী প্যাঁচার বাচ্চাগুলোকে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।