প্রায় দুই ঘণ্টা পর পার্বতীপুর-রংপুর রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুরের বদরগঞ্জে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় পার্বতীপুর-রংপুর-কাউনিয়া রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসসহ তিনটি ট্রেনের যাত্রীরা আটকা পড়েছিলেন।

আজ সোমবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে বদরগঞ্জের পাকার মাথা সেতুর কাছে দোলনচাঁপার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে পৌনে ১০টার দিকে বিকল ইঞ্জিনসহ দোলনচাঁপা ট্রেনটি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে পার্বতীপুর-রংপুর-কাউনিয়া রুটে আংশিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

বদরগঞ্জ রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে দোলনচাঁপা ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে সান্তাহারের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এরপর ৭টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি বদরগঞ্জ রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি পাকার মাথা সেতুর কাছে পৌঁছালে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

এতে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুরের শ্যামপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। এদিকে রংপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী দিনাজপুর কমিউটার ট্রেন।

বদরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার নুর আলম বলেন, বিকল ইঞ্জিনসহ দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি বদরগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এদিকে দিনাজপুর কমিউটার ট্রেনটি প্রায় দুই ঘণ্টা রংপুর রেলস্টেশনে আটকে ছিল। পরে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে দোলনচাঁপা ট্রেনটি বদরগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে সান্তাহারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের যাত্রী রোজিনা বেগম বলেন, পার্বতীপুর, বদরগঞ্জ, শ্যামপুরসহ আশপাশের অনেক এলাকার চাকরিজীবীরা এ ট্রেনে রংপুর মহানগরের বিভিন্ন অফিসে যান। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও ট্রেনটি ব্যবহার করেন। কিন্তু সকালে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় তাঁর মতো অনেকেই নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারেননি।