প্রি-পেইড মিটার বন্ধে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ১৯ জুন। ছবি: প্রথম আলো
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ১৯ জুন। ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন উত্তেজিত এলাকাবাসী। পরে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতায় কালিয়াকৈর, মৌচাক ও চন্দ্রা জোনাল নামে পল্লী বিদ্যুতের তিনটি অফিস আছে। এর মধ্যে কালিয়াকৈর ও চন্দ্রা জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৫ হাজার প্রি-পেইড মিটারের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার সংযোগের ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, মিটার ভাড়া বেশিসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকেরা। এ কারণে বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাসস্টেশন এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন উত্তেজিত লোকজন। অফিস ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাড়িতে প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। এই মিটার নেওয়ার পথ থেকে ১৮ দিনে তিনি বিল পরিশোধ করেছেন ৬০০ টাকা। অথচ গত মে মাসে সাধারণ মিটারে তিনি ৩০ দিনে বিল দিয়েছেন ৮০০ টাকা।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী হাফিজুল আমিন বলেন, ‘এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি লিখেছে। স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসক অফিসে দেওয়ার জন্য আমার কাছে দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ জেনারেল ম্যানেজার যুবরাজ চন্দ্র পাল প্রথম আলোকে বলেন, মিটার লাগানো ও গ্রাহকদের মিটার সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের কর্মকর্তাদের। তবে তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন না। প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত বিল আসার কোনো সুযোগ নেই। তিনি গ্রাহকদের এক মাস এই মিটার ব্যবহার করে দেখার অনুরোধ করেন।