প্রেমের অভিনয় করে ব্ল্যাকমেল, তরুণের ঠাঁই হলো কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের প্রথম পরিচয়। এরপর শুরু হয় নিয়মিত যোগাযোগ। একপর্যায়ে ফেসবুকের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। অনেকটাই ঘনিষ্ঠ ওঠে সেই সম্পর্ক। তবে শাকিলের পক্ষ থেকে সবই ছিল প্রেমের অভিনয়। কিন্তু মেয়েটি তা বুঝতে পারেননি।

একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনও দেন শাকিল। ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি আদান–প্রদানও চলতে থাকে নিজেদের মধ্যে। একপর্যায়ে ওই তরুণ শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন, তবে ওই তরুণী রাজি হননি। এর পর থেকেই ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছবি আর ভিডিও ছড়িয়ে ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করেন ওই তরুণ।

অবশেষে ওই তরুণকে আসামি করে ফেনীর ফুলগাজী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ওই তরুণী। গত শনিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জামালপুর থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে ফেনীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওই তরুণ।

গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. শাকিল (২৫)। তিনি জামালপুরের মেলান্দহ এলাকার বসিন্দা ও ঢাকা কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শাকিল নানা কায়দায় ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিলেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর স্বজনদের কাছেও নানা ধরনের ভিডিও পাঠাতে শুরু করেন শাকিল। অতিষ্ঠ হয়ে ওই তরুণী তাঁর মুঠোফোনের সিম পরিবর্তন করেন। এতে শাকিল ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণীর নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ওই তরুণীর পরিচিতদের কাছে বিভিন্ন ভিডিও পাঠাতে শুরু করেন। এসব ঘটনার পর ওই তরুণী একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। ফুলগাজী থানায় মামলার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শাকিলের অবস্থান চিহ্নিত করে।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। শনিবার রাতে পুলিশ জামালপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন, পেনড্রাইভ ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।