ফরিদপুর-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ চলছে

ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অংশীজন। সোমাবার দুপুরে বরিশাল সওজের আঞ্চলিনক প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ে
প্রথম আলো

ফরিদপুর, ভাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শামিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় যে অংশ অধিগ্রহণ করা হবে, তা অবশ্যই বাইপাস সড়ক নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে করা হবে।

আজ সোমবার বরিশালে এ-সংক্রান্ত এক অংশীজন সভা হয়েছে। আজ দুপুরে নগরীর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের বরিশাল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভাটি মূলত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরিশাল মহানগর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত মহাসড়কের অংশের অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।

সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শামিমুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি এই এলাকার সন্তান। বরিশালে যাতে বাইপাস সড়ক হয়, সেই লক্ষ্যে আমি অংশীজন সভার দুই থেকে তিন বছর আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। নগরীর মধ্যে যদিও ভূমি অধিগ্রহণ একটি কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আশা করছি দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হলে আগামী বছর যেকোনো সময় সড়কের কাজ শুরু হবে।’

সভায় উপসচিব মো. শামিমুজ্জামান বলেন, ‘বরিশাল নগরীর মধ্যে যদিও ভূমি অধিগ্রহণ একটি কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হলে আগামী বছর যেকোনো সময় সড়কের কাজ শুরু হবে।’

অংশীজন সভার সভাপতি এবং সওজ বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, ‘বরিশাল নগরবাসী সব সময় বাইপাস সড়কের পক্ষে ছিল। আমি বরিশাল সিটি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনিও আমাদের ভূমি অধিগ্রহণে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া যত দিন পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন না হয়, তত দিন নগরীর রাস্তা যাতে কিছুটা প্রশস্ত করা যায়, সে বিষয়ে তিনি আমাদের সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন।’

তারেক ইকবাল আরও বলেন, ‘সিটি মেয়রের সঙ্গে আলাপকালে নগরীর রূপাতলী এলাকার সেতু নিয়ে কথা হয়। এ সময় তাঁকে জানানো হয় সওজের সেতুর এলাকায় অতিরিক্ত জায়গা নেই। ফলে সেতুটি প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। তিনি সহায়তা করলে সেতুর দুই পাশে আমরা স্টিলের সেতু করে দেব। ফলে যানজট কমবে।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সওজ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, রোড ডিজাইন ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী বুলবুল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজন।

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কটি বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কের মধ্যে পড়েছে। বর্তমানে এই অংশ চার লেনে উন্নীতকরণের ব্যাপারে ওই অংশের বাসিন্দাদের মধ্যে আপত্তি রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কটি চার লেন হলে এখান থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করবে। তখন নগরের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে, এমন আশঙ্কাও আছে পরিবেশবাসীদের। এ জন্য নগরের এই অংশ বাদ দিয়ে একটি বাইপাস সড়ক করার পক্ষে নগরবাসী।