ফরিদপুরে জেলা আ.লীগের নির্দেশে শহর কমিটির সভা পণ্ড
ফরিদপুরে পুলিশি বাধায় শহর আওয়ামী লীগের সভা পণ্ড হয়ে গেছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সভাটি করতে দেয়নি। ফলে সভা না করেই নেতাদের ফিরে যেতে হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, শহর আওয়ামী লীগের এ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। এ কারণে হাঙ্গামার শঙ্কায় সভাটি করতে দেওয়া হয়নি।
শহর আওয়ামী লীগের এ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। এ কারণে হাঙ্গামার শঙ্কায় সভাটি করতে দেওয়া হয়নি।
শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মাহাতাব আলী প্রথম আলোকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের থানা রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আজ এ সভা আহ্বান করা হয়। এ সভার কথা আগেই জেলা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছিল। সভায় ফরিদপুর পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়েছিলেন। সভায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সাহায্য দেওয়ার জন্য ৬০ জনের একটি তালিকা প্রণয়নের কাজ করার কথা ছিল। পাশাপাশি এ উপলক্ষে ইফতার পার্টিরও আয়োজন করা হয়।
মাহাতাব আলী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা যখন সভার কাজ শুরু করব, তখন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হাজির হয়ে সভাটি বন্ধ করে দিতে বলেন।’
শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সভা করলে অন্য পক্ষ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আগামী ১ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান করা হয়েছে। আমরা চাইনি, তার আগে এ রকম কোনো সভা বা বিশৃঙ্খল কোনো পরিবেশের সৃষ্টি হোক। এ জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশের সঙ্গে শহর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই সভার সভাপতি শেখ মাহাতাব আলী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে বলেন, পরে এ সভা পুনরায় আয়োজন করা হবে। আজ পুলিশের বাধার কারণে সভা শেষ করা গেল না। পরে শেখ মাহাতাব আলী ও মনিরুজ্জামান সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সভা করলে অন্য পক্ষ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তা ছাড়া আগামী ১ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান করা হয়েছে। আমরা চাইনি, তার আগে এ রকম কোনো সভা বা বিশৃঙ্খল কোনো পরিবেশের সৃষ্টি হোক। এ জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন।’