ফরিদপুরে দুলাভাইয়ের বাড়ি থেকে শ্যালিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুলাভাইয়ের বাড়ি থেকে শ্যালিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পভুক্ত এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ওই কিশোরীর নাম লামিয়া ঐশি তাওহিদ (১৪)। সে উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া মহল্লার মো. আরিফ হোসেনের মেয়ে। আজ শুক্রবার সকালে লামিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন ওই কিশোরীর মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত বুধবার লামিয়া তার ছোট ভাইকে নিয়ে মধুখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মথুরাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার লামিয়ার ছোট ভাই বাড়ি চলে যায়। ওই বাড়িতে লামিয়ার বড় বোন আবিদা সুলতানা (১৯) ও দুলাভাই আবদুল আলিম (২৫) বসবাস করেন। আলিম মধুখালী বাজারের একটি প্রসাধন সামগ্রীর দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এদিকে আবিদা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়।

আবিদা জানান, গতকাল সকালে লামিয়াকে বাড়িতে একা রেখে তিনি পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের ভেতর থেকে দরজা-জানালা বন্ধ। তিনি অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। এরপর ঘরের জানালা ভেঙে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লামিয়ার লাশ ঝুলে আছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় লাশ নামিয়ে থানা–পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

আবিদা বলেন, ‘লামিয়ার সঙ্গে কারও কোনোরকমের ঝগড়া–বিবাদ কিছুই হয়নি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তাকে ভালোভাবে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি এসে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাই।’

জানতে চাইলে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লামিয়ার মা লাকী বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।