ফরিদপুরে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পলায়ন

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে ধরে হাতকড়া লাগিয়েছিল পুলিশ। ওই অবস্থায় ঘুষি মেরে দুই পুলিশ সদস্যকে পরাস্ত করে হ্যান্ডকাফ নিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. বরকত (২১)। তিনি পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাটি গ্রামের বাসিন্দা ধুলঝুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে। বরকত বিবাহিত এবং এক মেয়ের বাবা। বরকতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।

এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর হোসেন ও এসআই মো. জামালউদ্দিন। তবে তাঁরা কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশ বরকতকে আটক করতে পারেনি। তবে তাঁর বাবা ধুলঝুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনকে থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদস্য মঞ্জুর এসে বরকতের এক হাতে হ্যান্ডকাফ পরান। তখন বরকত অন্য হাত দিয়ে মঞ্জুরকে ঘুষি মারেন।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাটি গ্রামে একটি সালিস চলছিল। ওই সালিস নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও বাদানুবাদ হয়। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকত নামের ওই ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাঁকে হাতকড়াও পরানো হয়। ওই সময় বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ তাঁকে ছিনিয়ে নেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য মঞ্জুর এসে বরকতের এক হাতে হাতকড়া পরান। তখন বরকত অন্য হাত দিয়ে মঞ্জুরকে ঘুষি মারেন। ওই সময় পুলিশ সদস্য জামালউদ্দিন বরকতের আরেক হাত ধরে ফেললে বরকত হাতকড়াসহ হাত দিয়ে জামালউদ্দিনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান।