ফলের গাছ লাগানোয় উৎসাহী করতে ৪০০ কিলোমিটার হাঁটবেন তাঁরা

ফলদ বাংলাদেশের সদস্যরা গতকাল রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছালে তাঁদের বরণ করে নেন আইনজীবী নাসির মিয়া (মাঝে)প্রথম আলো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল। নাম ফলদ বাংলাদেশ। পরিবেশ রক্ষায় ফলের গাছ লাগাতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে তারা শুরু করেছে বৃক্ষ পদযাত্রা। এ জন্য ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার হাঁটবে তারা।

১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৃক্ষ পদযাত্রা শুরু করেন ফলদ বাংলাদেশের সদস্যরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছান। আজ সোমবার সকাল সাতটায় আবার তাঁদের হাঁটা শুরু হয়।

এই দলের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ফলদ বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক দ্রাবিড় সৈকত। দলের অন্য সদস্যরা হলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান; বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রাতুল মুন্সী, হুমায়ুন কবির, শাহিন আলম ও সুজালো চাকমা; ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী রঞ্জিত কুমার এবং নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিউটন চাকমা।

ফলদ বাংলাদেশের সদস্যরা জানিয়েছেন, ত্রিশালের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬ দিনে সাত জেলার ২৪ উপজেলা পায়ে হেঁটে ৩১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি শহীদ মিনারে পৌঁছে পদযাত্রা শেষ করবেন তাঁরা। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাঁদের বরণ করে নেন আইনজীবী নাসির মিয়া।

দলনেতা দ্রাবিড় সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। ভুল বৃক্ষ রোপণের ফলে পুষ্টি, অর্থ ও বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি রোধ করতে তাঁরা মানুষকে দেশীয় ফলের গাছ লাগাতে সচেতন করছেন। আর্থিক মূল্যমানের দিক চিন্তা করলেও ফলদ বৃক্ষ বেশি লাভজনক। সংগঠনটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় পৌনে তিন লাখ ফলদ বৃক্ষ রোপণ করেছে বলে তিনি জানান। ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে এক কোটি ফলদ বৃক্ষ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা তাঁদের।

এই দলের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ইউক্যালিপটাস, রেইনট্রি, মেহগনি, শিশু ও একাশিয়াগাছ লাগিয়ে মানুষ পরিবেশের ক্ষতি করছে। এসবের প্রতিবাদে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে তাঁদের ওই উদ্যোগ।