ফিরোজ সিকদারকে ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় পরিবার

ফিরোজ সিকদার
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ফিরোজ সিকদার (২৯)। এক সপ্তাহ পর তাঁর খোঁজ মিলেছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে কোস্টগার্ডের একটি ক্যাম্পে। কোস্টগার্ড সদস্যরা তাঁকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছেন। ফিরোজ বেঁচে আছেন জেনে আনন্দের শেষ নেই তাঁর পরিবারের। ফিরোজকে দ্রুত ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

ফিরোজ সিকদারের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামে, বাবার নাম মৃত মিলন সিকদার। ফিরোজের মেজ ভাই মাসুম সিকদার আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে বলেন, ‘আমার ভাই ফিরোজ সুস্থ আছে এবং জীবিত আছে, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওয়া। এ জন্য আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। আমার ভাই অবৈধ উপায় অবলম্বন করে ভারতে যায়নি। সে বিপদগ্রস্ত হয়ে ওই দেশে পৌঁছেছে। এটা অত্যন্ত মানবিক একটা বিষয়। আমার ভাইকে যাতে দ্রুত দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়, সরকারের কাছে সে দাবি জানাই।’

ফিরোজের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালেন মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো. আবুল খায়ের। বেলা দুইটার সময় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ফিরোজ সিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে আমার কথা হয়েছে। প্রায় ১৬ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয়। চেন্নাইয়ের কোস্টগার্ড সদস্যরা তাঁকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আটক করেনি। কোস্টগার্ড তাঁকে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। এমনকি তাঁরা ফিরোজ সিকদারকে দুই হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাও দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে সে একটি মুঠোফোন সেট এবং সিম কিনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।’

গত ২৬ মে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এক ভাগনে ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যান ফিরোজ। তাঁরা কুয়াকাটার রয়্যাল প্যালেস নামের একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রী যাপনের জন্য ওঠেন। ২৭ মে দুপুর ১২টার সময় সবাই মিলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গোপসাগরে গোসল করার জন্য নামেন। তাঁরা তিন ঘণ্টা ধরে সাগরে গোসল করেন। একপর্যায়ে নিখোঁজ হন ফিরোজ। এরপর স্থানীয় জেলেরাসহ কলাপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে তাঁকে কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে খুঁজতে থাকেন। তবে ফিরোজকে খুঁজে কোথাও পাওয়া যায়নি।

শনিবার দুপুরে ফিরোজ সিকদারের মেজ ভাই মাসুম সিকদারের মুঠোফোনে হঠাৎ একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে ফিরোজ সিকদার কথা বলেন। তখন ফিরোজ জানান, তিনি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইতে কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন।