ফুটবল খেলায় পরাজিত দলের হামলায় বিজয়ী দলের খেলোয়াড়সহ আহত ১৮

ফরিদপুর সদর উপজেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের হামলায় আহত বিজয়ী দলের খেলোয়াড়রা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল টুর্নামেন্টে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা বিজয়ী দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই হামলায় ১৮ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা কলেজসংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ১৮ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড় পিয়াস মোল্লা (১৬), শাহাদাত হোসেন (১৬), মো. সোহান শেখ (১৬) এবং সমর্থক মো. মাসুদ শেখ (১৭)।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ওই মাঠে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ (অনূর্ধ্ব ১৭) ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশ কৈজুরি ইউনিয়ন একাদশের মুখোমুখি হয়। খেলার নির্ধারিত সময়ে দুই দল দুটি করে গোল করে। পরে টাইব্রেকারে ডিক্রিরচর একাদশ ৩-২ গোলে কৈজুরি একাদশকে হারিয়ে দেয়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হেরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৈজুরি ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড়েরা মাঠের মধ্যে ডিক্রিরচরের খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। পরে কৈজুরি ইউনিয়ন একাদশের সমর্থকেরা রড, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড়দের পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ডিক্রিরচরের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের বহনকারী একটি বাস ও ট্রাক ভাঙচুর করে।

হামলায় আহত ডিক্রিরচর দলের খেলোয়াড় টেপাখোলা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াস মোল্লা (১৬) বলেন, ‘টাইব্রেকারে প্রথমে কৈজুরি আমাদের গোল দেয়। তখন কৈজুরির খেলোয়াড়েরা উল্লাস করে। খেলায় আমরা জিতে উল্লাস শুরু করলে কৈজুরির খেলোয়াড়েরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

ওই সময় ওই মাঠে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদরের ইউএনও লিটন ঢালী। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় মাঠে উপস্থিত ছিলাম। দেখলাম মাঠের একদিকে জটলা হচ্ছে। আমি ওই জায়গায় যেতে যেতে হামলার এ ঘটনা ঘটে যায়।’

এ বিষয়ে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ‘খেলার মাঠটি কৈজুরি ইউনিয়নসংলগ্ন হওয়ায় কৈজুরির খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা আমাদের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের নির্বিচার মারধর করতে পেরেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমল রঞ্জন সরকার বলেন, এ খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।