ফুলকপি চাষে লাভবান দাউদকান্দির কৃষকেরা

কৃষক জমি থেকে ফুলকপি সংগ্রহ করছেন। শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাটারাপাড়া গ্রামের মাঠে
প্রথম আলো

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাটারাপাড়া গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া, বিটেশ্বর গ্রামের রফিক ভূঁইয়া, নৈয়ার গ্রামের রফিক মিয়াসহ অনেকে এবার ফুলকপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গতকাল শনিবার উপজেলার তিনটি গ্রামের মাঠ ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া যায়।

কথা হয় নৈয়ার গ্রামের কৃষক রফিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, নিজের ৪০ শতক জমিতে এবার ফুলকপি চাষ করেছেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি ফুলকপি পাইকারি ১৬ টাকা হিসাবে বিক্রি করায় খরচ বাদ দিয়ে তিনি লাভ করেছেন ৫৭ হাজার টাকা।

কাটারাপাড়া গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া জানালেন, তিনি ২৫ শতক জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। তাঁর খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তিনি লাভ করেছেন ২৫ হাজার টাকা।

বিটেশ্বর গ্রামের কৃষক রফিক ভূঁইয়া বলেন, তিনি নিজের ১২ শতক জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে আট হাজার টাকা। বিক্রি করেছেন ২২ হাজার টাকা। তাঁর লাভ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।

উপজেলার পেন্নাই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার বছরে সবজির গুণগত মান অন্যান্য বছরের তুলনায় খুবই ভালো।

ফুলকপির খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাটারাপাড়া গ্রামের মাঠে
প্রথম আলো

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা কমিটির সদস্য মতিন সৈকত বলেন, চলতি বছর সবজির জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে দাউদকান্দি তাই এগিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, পোকার আক্রমণ না হওয়ায় এবং বাজারে সবজির চাহিদা থাকায় কৃষক সবজি চাষে বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি বছর দাউদকান্দিতে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।