ফেনীতে ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

ফেনীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরপত্র জমাদানে বাধা ও একজন ঠিকাদারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা।  

স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আবুজাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ জারি করা হয়। জানে আলম ভূঁঞা বর্তমানে কারাবন্দী। তিনি ফেনী জেলা যুবলীগের সহসভাপতিও।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রসঙ্গত গত ২৭ ডিসেম্বর ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার-দফাদার) পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে গেলে শর্শদীর ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলমের অনুগত লোকজনের হাতে অপহৃত হন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা ও ঠিকাদার খলিলুর রহমান। এ ঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে একজন ফেনীর জিডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞার নির্দেশে ওই ঠিকাদারকে দরপত্র জমাদান করতে না দিয়ে অপহরণ করা হয়ে বলে স্বীকার করেন।

৩১ ডিসেম্বর সকালে সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহানপুর গ্রামের বাড়ি থেকে জানে আলমকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। ৫ জানুয়ারি জানে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ডে দেন আদালত। ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।