ফেনীতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়াল

ফেনীতে নতুন করে আরও ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন ১১ জনসহ এ জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০১।
জেলায় এর মধ্যে মারা গেছেন সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৩৭ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ৫৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় ১৪৫ জনের প্রতিবেদন এসেছে। এতে নতুন করে ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। তাঁদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ৭ জন, ছাগলনাইয়ার ২ ও ফুলগাজী উপজেলার ২ জন রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১৬ এপ্রিল ফেনীর ছাগলনাইয়ার পশ্চিম মধুগ্রাম গ্রামে প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। শনাক্তের ১৫৪তম দিনে এসে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০১। তাঁদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ৬৪৮ জন, দাগনভূঞার ৩৮৫, সোনাগাজীর ২৫৭, ছাগলনাইয়ার ২২৪, পরশুরামের ১৩৪, ফুলগাজী উপজেলার ১২১ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৭ জন রোগী রয়েছেন।

ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট ল্যাব, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।

সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিশু রয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
ফেনীতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জেলার সিভিল সার্জনসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ১২ জন সোনাগাজীর, ১০ জন ফেনী সদরের, ৭ জন দাগনভূঞার, ৪ জন ছাগলনাইয়ার ও ৪ জন পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দা।